আমিরাতের বান্যিজিক নগরী দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশে কন্স্যুল্যেটে আজমানে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা সেবা গ্রহণ করতে বাড়তি যাতায়াত খরচ ও দূরত্বের কারণে অতিরিক্ত সময়ও ব্যয় করতে হতো। প্রায় দুই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বাস করেন আজমান প্রদেশে। দুবাই যেতে হলে অধিকাংশ প্রবাসী কর্মস্থল থেকে ছুটি নিতে হয়। প্রবাসীদের এই ভোগান্তি কমাতে এবার আজমান প্রদেশেই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের তত্বাবধানে কনস্যুলার সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ সমিতি আজমান।
শুক্রবার ২৭শে জুন বিকেলে আজমান রাশিদিয়া-৩ এলাকা গ্র্যান্ড মল অফিস টাওয়ারে অবস্থিত সমিতির কার্যালয়ে কনস্যুলার সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমিতির আহবায়ক মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা মাহমুদের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনস্যুলার কর্মকর্তা (পাসপোর্ট) নাজমুল হাসান, কমিউনিটি নেতা জাকির হোসাইন, প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মীর কামাল, এনাম চৌধুরী, শাহীনুর শাহীন সহ আরো অনেকে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সদস্য সচিব কামাল হোসাইন খান সুমন। এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন শেখ সেলিম, আলতাফ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুল মালেক, ফজলুর রহমান খান পাপ্পু, নাজিম উদ্দিন, শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর আলম রুপু প্রমুখ।
আজমান সমিতিতে নতুন ই-পাসপোর্টের আবেদন ও নবায়ন, জন্মনিবন্ধন, প্রবাসী কল্যাণ কার্ড, সনদ সত্যায়নের মতো সেবা চালু করা হয়েছে এখানে। প্রতিমাসে গড়ে এক হাজার প্রবাসী এই সেবা নিতে পারবেন। ছুটির দিনেও সেবা চালু রাখা হবে। উদ্যোক্তারা বলছেন, এতে করে প্রবাসীদের সময় ও খরচ দুটোই বাঁচবে। ধীরে ধীরে সেবার পরিধিও বাড়বে।
সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস জানান, স্থানীয়ভাবে এই সেবা চালু করায় নানান ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবেন প্রবাসীরা। এই সেবা ধারাবাহিক রাখার পাশাপাশি আরো সুযোগ সুবিধা সংযোজন করা হবে।
সমিতির সিনিয়ির যুগ্ন আহবায়ক মোস্তফা মাহমুদ বলেন, সাধারণ শ্রমিকদের কন্সুল্যার সেবা নিতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। শ্রমিকদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই বাংলা সমিতি আজমান কন্স্যুলার সেবা কর্মসূচি শুরু করেছে।
সমিতির সদস্য সচিব কামাল হোসাইন সুমন বলেন, আজমানে দুই লাখ প্রবাসীদের বসবাস থাকলেও দুবাইতে গিয়ে কন্স্যুল্যার সেবা গ্রহণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যায় সহায়তার কথা চিন্তা করেই বাংলাদেশ সমিতি আজমান উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে। নতুন ই-পাসপোর্টের আবেদন ও নবায়ন, জন্মনিবন্ধন, প্রবাসী কল্যাণ কার্ড, সনদ সত্যায়নের মতো সেবা চালু করা হয়েছে। এখানে প্রতিমাসে গড়ে এক হাজার প্রবাসী এই সেবা নিতে পারবেন।
স্থানীয়ভাবে এই সেবা চালু করায় নানান ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবেন এমনটাই দাবি প্রবাসীদের।