জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের মকসদ আলীর ছেলে লিভিয়া প্রবাসী সাদিকুর রহমান এর অত্যাচার অতিষ্ট হয়ে ঋনের দায়ে বাড়ি ছাড়া কয়েকটি পরিবার। জানা যায়, সাদিকুর রহমান লিভিয়া তাকা কালিন সময়ে এলাকার সহজ সরল লোকদের কে নানান ভাবে মিথ্যা আস্বাস দিয়ে সাগর পথে ইতালি নেওয়ার কথা বলে হাতিয়েছেন প্রায় ৩০/৪০ লক্ষ টাকা। এ ব্যাপারে আরো জানা যায় যে, সাদিকুর লিভিয়া তাকায় এলাকায় তার ভাই লাল বাজারের সবজির দোকানদার বাচ্চু মিয়া র মাধ্যমে লেনদেন হয়। এভাবে একই এলাকার ছেলাইয়া গ্রামের মিরাশ আলীর ছেলে আলফাত নুর কে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তার পরিবারের কাউকে না জানিয়া লিভিয়া নিয়ে যায়। লিভিয়া নিয়ে যাওয়ার পর তাকে জিম্মি করে প্রায় ১৬ লাখ টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে মিরাশ আলী তার ছেলেকে বাচাঁতে তার একমাত্র জীবিকা নির্বাহের বাহক গাড়িটি বিক্রি করেন ও তার পরিশ্রমের তৈরি বাড়িটি বিক্রি করে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলে কে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনেন। ভুক্তভোগি ছেলাইয়া গ্রামের জয়নুল হক র ছেলে লিভিয়া থেকে দেশে ফিরে এসে জানান,সাদিকুর আমাদের পার্শবর্তী গ্রামের হওয়ায় আমরা তাকে বিশ্বাস করে তার কাছে যাই,পরে আমি সহ আরও চার জনকে গেইম দিবে বলে ৬ লাখ টাকা করে নিয়ে আমাদের কে অন্য একজনের কাছে বিক্রয় করে দেয়। আমরা ঐখান থেকে আরও জন প্রতি ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, মাফিয়া সাদিকুর লিভিয়া কোন কাজ করে না সে আদম ব্যবসা করে শুধু তার এলাকাই নয় পার্শবর্তী বিভিন্ন এলাকার লোকদেন কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় ঋনের দায়ে ভিটে ছাড়া হয়েছে অনেক পরিবার। দেশে অবস্তানরত তার ভাই বাচ্চু মিয়া হয়েছেন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। সামান্য সবজি ব্যবসায়ী থেকে হয়েছেন বাজারের বড় ব্যবসায়ী। করেছেন বাড়ী, বাজারে ঘর সহ নানান অবৈধ সম্পত্তি। মাফিয়া সাদিকুরের এমন অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ঋনের দায়ে বাড়ি ছেড়েছে অনেক পরিবার। ঐ মাফির ভাই বাচ্চু সহ মাফিয়া সাদিকুরকে দেশে এনে সুবিচার দাবি করছেন ভুক্তভোগি পরিবার।